শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৫:৫০ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে গেছে

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ব্যবস্থা নিতে দেরি হয়ে গেছে

স্বদেশ ডেস্ক:

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক ডা. বেনজীর আহমেদ বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় যে লকডাউন হয়েছে তাতে আমাদের অবশ্যই ধরে নিতে হবে সেখানে করোনার ভারতীয় ধরনের কারণে রোগী বেড়েছে। সেটির জন্য বড় কোনো গবেষণার প্রয়োজন পড়ে না। চাঁপাইনবাবগঞ্জে যে লকডাউন, এটি আরও আগে আসা উচিত ছিল। সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ এখন যে ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটি নিতে দেরি হয়ে গেছে। গতকাল সোমবার আমাদের সময়ের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

ডা. বেনজীর বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উচিত ছিল যেখানে যখনই রোগী বাড়ছে তখনই একটা অ্যানালাইসিস করা। সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে সংক্রমণ কেন বাড়ছে এটা জানতে বড় কোনো গবেষণার প্রয়োজন হয় না, শুধু অ্যানালাইসিস করলেই হয়। যারা আক্রান্ত হয়েছে তারা কি ঢাকা থেকে গিয়েছে, যদি না গিয়ে থাকে তা হলে তারা সেখানকার লোক। তা হলে এই লোকগুলোর সঙ্গে সীমান্তের ওপার থেকে আসা লোকজন মিশেছে কিনা। এই বিষয়টি অ্যানালাইসিস করলেই আমরা ধরতে পারি এটি ঢাকার সংক্রমণ নয়, ভারতের সংক্রমণ। বাংলাদেশের কোনো জেলা-উপজেলায় যদি সংক্রমণ না বাড়ে, আর যদি সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় সংক্রমণ বাড়ে, যার সঙ্গে আমাদের অনেকের যোগাযোগ আছে তা হলে ধরে নিতে হবে এটি ভারতের সংক্রমণ। সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বাড়লে তাৎক্ষণিক লকডাউন করতে হবে।’

চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে অনেক রোগী এরই মধ্যে রাজশাহীতে এসেছে উল্লেখ করে ডা. বেনজীর বলেন, যত রোগী চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে রাজশাহী এসেছে তারা অনেক লোকের সংস্পর্শে এসেছে। সেই লোকেদের কেউ রাজশাহীতে গেছে, কেউ ঢাকা বা অন্য কোনো শহরে গিয়েছে। যারা যেখানে গেছে তারা সেখানে ছড়াচ্ছে। এই ছড়ানোর সুযোগ দেওয়া যাবে না। তাই আরও কিছু জেলা-উপজেলায় এলাকাভিত্তিক লকডাউন দেওয়ার পরামর্শ আমরা দিচ্ছি।

এখন সারাদেশে যে লকডাউন চলছে এটা এখন তুলে দিয়ে সীমান্তবর্তী জেলা-উপজেলায় লকডাউন দেওয়া দরকার বলেও উল্লেখ করেন তিনি। ডা. বেনজীর বলেন, ‘যেসব জেলা-উপজেলায় সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা যাবে, সেখানে যদি লকডাউন দেওয়া হয় তা হলে সংক্রমণ ছড়াবে না। এলাকাভিত্তিক লকডাউনে স্থানীয় পর্যায়ে কিছু অসুবিধা হবে, তবে মহাঅসুবিধা হবে না। লকডাউন দিয়ে যদি অসুবিধা থেকে সুবিধা বেশি পাওয়া যায় তা হলে লকডাউন দেওয়া ভালো। আমাদের দ্রুত এলাকাভিত্তিক লকডাউনে যাওয়া উচিত।’

সামীন্তবর্তী জেলা-উপজেলায় রোগী পাওয়া গেলে তারা ঢাকা থেকে গিয়েছে নাকি সীমান্তের ওপার থেকে এসেছে তা জানতে হবে। আসার পর কারা ওদের সঙ্গে মিশেছে এসব বিষয় তদন্ত করতে হবে খুব ভালো করে। কোনো রোগী পাওয়া গেলে তাকে অন্যদের থেকে আলাদা রাখতে হবে। রোগীর সংস্পর্শে আসা মানুষদের খুঁজে বের করে কোয়ারেন্টিনে রাখারও পরামর্শ দেন তিনি।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877